পেশাটা শুরু হয়েছিল শখে। সফ্টওয়্যার নিয়ে খেলতে ভালবাসতেন। একদিন সেটাই যে তাকে খবরের শিরোনামে নিয়ে আসবে হয়তো ভাবতে পারেননি তিনিও। বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে শুরু করেছিলেন অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা।
আর এখন ফেসবুক থেকে উবের সকলেই পুরস্কার পাঠায় তাকে। অর্থের অঙ্কটা কিন্তু নেহাত কম নয়। ২০১০ সাল। তখনও ফেসবুকের রমরমা শুরু হয়নি। বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে এক বন্ধুর অরকুট অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিলেন রাজস্থানের কোটার যুবক। আনন্দ প্রকাশ। সেই শুরু। হ্যাকিংটা নেশার মতো হয়ে যায়।
গুগল সার্চ করে হ্যাকিং সম্বন্ধে পড়াশোনা শুরু করেন আনন্দ। ভেলর ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে পড়ার সময় সেখানকার সুরক্ষিত ওয়াইফাই কানেকশন হ্যাক করেন আনন্দ। ২০১৩ সালে প্রথম খবরে আসেন আনন্দ। ফেসবুকের একটি বাগ খুঁজে বের করেন। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়ে জানান তিনি। এরপরই ফেসবুকের তরফে পুরস্কৃত করা হয় আনন্দকে। ৫০০ ডলার পান। ধীরে ধীরে নেশাটাই পেশা হয়ে যায়।
ফেসবুক, টুইটার, গুগল, নোকিয়া, ড্রপবক্স, উবের, পে পল, সাউন্ড ক্লাউডসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের বাগ খুঁজে বের করেন তিনি। ফেসবুকের প্রথম তিন সিকিউরিটি রিসার্চের তালিকায় এখন রয়েছে আনন্দ প্রকাশের নাম। শুধু তাই নয়, ফেসবুকের অ্যানুয়াল হোয়াইট হ্যাট তালিকায়ও রয়েছেন তিনি। নামকরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের বাগ খুঁজে এখন বছর প্রায় ২ দশমিক ২ কোটি টাকা আয় করেন আনন্দ প্রকাশ।
-আনন্দবাজার পত্রিকা।
No comments:
Post a Comment