এখন যা পরিস্থিতি তাতে কোনও মতে ৬০ বছর পেরতে পারলে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করা যেতে পারে। কারণ, সে তো সবার জানা।
চারিদিকে আজ শুধু বিষ আর বিষ। খাবারে ভেজাল, বায়ুতে দূষণ, পানিতে জীবাণু। এর পরেও কী করে বাঁচার আশা রাখা যায় বলুন!
আলবাত রাখা যায়! কীভাবে? সেই উত্তর পেতে গেলে যে চোখ রাখতে হবে এই প্রবন্ধে।
প্রাকৃতিক উপদানের মধ্যে এমন শক্তি রয়েছে, যা এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের শরীরকে সব দিক থেকে সুস্থ রাখতে সক্ষম।
তাই তো এই প্রবন্ধে এমন একটি ঘরোয়া ওষুদের সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা প্রতিদিন খেলে আমাদের শরীরের নানাবিধ ঘাটতি যেমন দূর হয়, তেমনি ছোট-বড় প্রায় কোনও রোগই ছুঁতে পারে না।
কীভাবে বানাতে হবে এই ঘরোয় ওষুধটি?
এটি বানাতে প্রয়োজন পরবে পেঁপের বীজ আর মধুর। ২ চামচ পেঁপের বীজ নিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া শুরু করুন। তাহলে দেখবেন নিচে আলোচিত এই ৭ টি সমস্যা কোনও দিন আপনাকে ছুঁতেও পারবে না-
১. শরীর থেকে সব বিষ বার করে দেয়: এই ওষুধে এমন রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং এমন কিছু শক্তিশালী উপাদান, যা শরীর থেকে সব রকমের ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষ বার করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে কোনও রোগক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে হ্রাস পায়।
২. স্টমাকে উপস্থিত ক্ষতিকর পোকাদের মেরে ফেলে: স্টমাকে এইসব ক্ষতিকার উপাদানের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত হজমর সমস্যা বাড়বে। আর এই ধরনের রোগের হাত থাকে বাঁচাতে এই ঘরোয়া ওষুধটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এতে উপস্থিত নানা উপকারি উপাদান এইসব পোকাদের মেরে ফেলে। ফলে হজমের সমস্যা হয়ার সম্ভবনা অনেকাংশে হ্রাস পায়।
৩. ওজন হ্রাস পায়: যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের তো এই ওষুধটি খাওয়া মাস্ট! কারণ পেঁপে এবং মধুতে রয়েছে বেশ কিছু লিপিডস এবং পটাশিয়াম, যা মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমনটা আমাদের সকলেই জানা আছে যে হজম ক্ষমতা যত ভাল হবে, তত শরীরে চর্বি জমবে কম। ফলে ওজন কমবে চোখে পরার মতো।
৪. পেশির গঠন সাহায্য করে: এই ওষুধটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন, যা পেশির গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যদি পেশিবহুল শরীর পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন এই ঘরোয়া ওষুধটি।
৫. ক্লান্তি দূর করে: কোনও কোনও সময় ক্লান্তি আমাদের এতটাই দুর্বল করে দেয় যে এই জেট যুগে প্রতিযগিতায় টিকে থাকা প্রায় সম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আপনিও যদি একই সমস্যা শিকার হয়ে থাকেন তাহলে পেঁপে এবং মধু মিশ্রিত এই ওষুধটি খাওয়া শুরু করুন। কারণ এতে রয়েছে গ্লকোসিনোলেট নামে একটি উপাদান, যা সেলেদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ক্লান্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
৬. ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে: এই ওষুধটিতে রয়েছে প্রচিুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে কোনও ভাইরাসই তেমন একটা ক্ষতি করতে পারে না। তাই আপনিও যদি ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে চান, তাহেল শীঘ্র খাওয়া শুরু করুন এই ওষুধটি।
৭. পুরুষদের ফার্টিলিটি আরও উন্নত করে: পেঁপের বীজে উপস্থিত বেশ কিছু এনজাইম স্পার্ম কাউন্টের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
-সময়ের কণ্ঠস্বর
No comments:
Post a Comment